
৳ ২০০ ৳ ১৮০
|
১০% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





ভূমিকা: কোয়ান্টামের প্রতি আমার আগ্রহ ও আকর্ষণ বহুদিনের। এর কারণ যে শুধু কোয়ান্টাম মেথডের কার্যকারিতা, তা নয়; এ মেথডটি প্রবর্তনের নেপথ্যে যে মানুষটি নীরবে নিঃশব্দে সবাইকে শারীরিক ও নৈতিক চালিকাশক্তি ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন, তাকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি। গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বহুকাল ধরে গবেষণা করছেন-মন ও দেহ নামক গাড়িটিকে সুন্দরভাবে চালাতে হলে কী করে মানুষকে তার নিজের ড্রাইভিং সিটে বসতে হবে, তা নিয়ে। আর সেই কলাকৌশলটি তিনি সবাইকে শিখিয়ে চলেছেন কোয়ান্টাম মেথডের সাহায্যে।
আমাদের দেশের মানুষ ও পাশ্চাত্য জগতের মানুষের দুঃখকষ্ট একটু ভিন্ন রকমের। পাশ্চাত্যে জিনিসের কষ্ট নেই, মনের কষ্ট আছে। আর আমাদের অধিকাংশের মধ্যে মনের কষ্ট নেই, কিন্তু জিনিসের কষ্ট আছে। হালে অবশ্য কনজ্যুমারিজমের প্রভাবে আমাদেরও মনের কষ্ট বেড়ে চলেছে, এর ফলে নানারকম রোগও দেখা দিচ্ছে। এই রোগগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এগুলো যতটা না দেহের, তার চেয়ে বেশি মনের। এ কষ্ট দূর করতে তাই ওষুধের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন আছে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবার। প্রয়োজন আছে আত্মস্থ হবার। প্রয়োজন সঠিক ব্রেনওয়েভ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবার। কোয়ান্টাম এ কাজটিই সুচারুরূপে করে। আর তাই সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এটাই হওয়া চাই আমাদের সকলের আরাধ্য বিষয়।
এই পদ্ধতির সঙ্গে ইসলাম ও স্রষ্টায় ধ্যানমগ্নতার একটা সাযুজ্য আছে। আমিও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে গিয়ে আত্মবিকাশের পথে কথাগুলোই বিভিন্নভাবে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি। কোয়ান্টাম আমার কথাগুলোই একসঙ্গে গেঁথে একটি গ্রন্থের রূপ দিয়েছে। এজন্যে আমি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কাছে এবং গুরুজী ও মা-জীর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
Title | : | ইসলাম বিজ্ঞান মেডিটেশন |
Author | : | প্রফেসর ড. এম শমশের আলী |
Publisher | : | কোয়ান্টাম প্রকাশনা |
ISBN | : | 9789843381828 |
Edition | : | 1st Published, 2014 |
Number of Pages | : | 128 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী ১৯৬১ সালে ঢাকায় আনবিক শক্তি কমিশনে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে যােগ দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এ প্রতিষ্ঠানের নানা পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি অসামান্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি প্রফেসর-এর বিরল সম্মানে ভূষিত করে। পরবর্তীতে ১৯৮২ থেকে দু-যুগ তিনি এ বিভাগের নিয়মিত অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। বিজ্ঞানের জগতে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব প্রফেসর শমশের আলী বিশ্বের তিনটি সায়েন্স একাডেমির ফেলাে-ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স, একাডেমি অব সায়েন্স অব দি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (প্রেসিডেন্ট : ২০০৪-২০১২)। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলাে। বিজ্ঞানভাবনা প্রসারে সদা-উৎসাহী ড. আলী টানা এক যুগ বিটিভি-তে বিজ্ঞান বিচিত্রা ও নতুন দিগন্ত নামে দুটি নতুন ধারার শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে সিরিজ লেকচার প্রদান করেন বিবিসি-তে। বৃহত্তর জনগােষ্ঠীর মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তােলার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স ও ইতালির থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক অব সায়েন্টিফিক অর্গানাইজেশনের সম্মাননা। | বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি ভূষিত হয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ও পুরস্কারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিপ্রসন্ন রায় স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক, জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক এর অন্যতম। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথমসারির সায়েন্টিফিক জার্নালগুলােতে প্রকাশিত হয়েছে তার অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা। এছাড়াও বিজ্ঞান, গণিত ও ইসলাম নিয়ে লিখেছেন বেশ কয়েকটি আলােচিত গ্রন্থ। আল্লামা শমশের আলী এমন একজন মানুষ-চেনা ছকের বাইরে এসে যিনি দেখতে শিখেছেন মানুষ ও প্রকৃতিকে। বন্ধু ও কাছের মানুষেরা তাকে অভিহিত করেন A man with a large antenna বলে। বিজ্ঞানের পাশাপাশি কবিতা, সংগীত, সাহিত্য ও ধর্ম তার বিশেষ আগ্রহের বিষয়।
If you found any incorrect information please report us